উইন্ডিজ সফরে গিয়ে এখনো টস জেতা হয় নি টাইগারদের। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে টস হারার পর টসে হেরেছিল প্রথম টি -টোয়ান্টিতেও।
দ্বিতীয় টি -টোয়ান্টিতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদান্ত নেয় উইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আগ্রাসী হয়ে খেলতে থাকেন উইন্ডিজ ওপেনার কাইল মায়াস।তাসকিনের করা প্রথম ওভার থেকেই সংগ্রহ করেন ১৪ রান। তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। ১৭ রান করে মাহেদী হাসানের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি। সাকিবের বলে ব্রুকসকে শুন্য রানে ফেরালে ২৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে উইন্ডিজ। কিন্ত সুযোগ পেয়েও উইন্ডিজকে চেপে ধরতে পারেনি টাইগাররা।
শুরুতে চাপ সামাল দেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও ওপেনার বেন্ডন কিং। অধিনায়ক ফিফটির দেখা না পেলেও বেন্ডন কিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। শেষদিকে রোভম্যান পাওয়েলের ২৮ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রগ গড়ে ক্যারিবিয়ানরা।টাইগাররা বোলারদের মধ্য সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন শরিফুল ইসলাম। ৪০ রান খরচায় ২ উইকেট পেয়েছেন তিনি। এছাড়া মাহেদী, মোসাদ্দেক ও সাকিব ১ করে উইকেট শিকার করেছেন। জবাব দিতে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগাররা। ৩৫ রানের পরাজয়ে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে গেছে টাইগাররা।
১৯৪ রানে টাগেট ব্যাট করতে শুরুতেই ব্যাটিং বিপযয়ে পড়ে টাইগাররা। ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সফরকারীরা। আ্ফিফ ও সাকিব ৫ম উইকেট জুটিতে ৫৩ রান যোগ করে আশাটাকে বড় করে তোলেন। কিন্তু ৩৪ রান করে আফিফের বিদায়ের পর জয়ের সম্ভবনা ফিকে হতে থাকে। ৬৮ রান করে সাকিব অপরাজিত থাকলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।