ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
টসে জিতে বোলিং করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে টাইগাররা। একাধিক সুযোগ তৈরি করে উইকেটে তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেটের গেরু খুলতেই যেন বদলে যায় টাইগাররা। দুদান্ত বোলিং করে ১০৮ রানে গুটিয়ে দেয় ক্যারিবিয়ানদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সহজ রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেন শান্ত। কভার থেকে তার থ্রো স্টাম্পে লাগলেই ফিরে যেতেন কাইল মায়ার্স।
পঞ্চম ওভারে মিরাজের বলে এগিয়ে এসে উড়াতে চেয়েছিলেন শাই হোপ। কিন্তু তার ব্যাটে লেগে বল যায় উইকেটের পেছনে। ক্যাচ মিসের পর স্টাম্পিংয়ের সুযোগও হাতছাড়া করেন সোহান। দুই ওপেনারই সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু ফিল্ডারদের শুরুর ব্যর্থতায় মেলেনি সাফল্য। একাধিক সুযোগ পেয়েও রান তুলতে পারছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত ১১ তম ওভারে এসে উইকেটে তুলে নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১৭ রান করা কাইল মায়ার্সকে বোল্ড করেন মোসাদ্দেক। এরপরেই বোলিং কারিশমা দেখান নাসুম আহমেদ।
সামরাহ ব্রুকসকে বোল্ড করে প্রথম ওয়ানডে উইকেট পান নাসুম আহমেদ। তবে এখানেই থেমে থাকেননি নাসিম আহমেদ। ইনিংসের ১৮তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান শাই হোপ এবং অধিনায়ক পুরানকে প্যাভিলিয়নের ফেরান নাসুম আহমেদ।১০ ওভারের স্পেলে ৪ টি মেডেনসহ ১৯ রানের খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। নাসুমের সাথে ভালো বোলিং করেন বাকি বোলাররা।
এই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে একটি উইকেট শিকার করেন। গত ম্যাচের সেরা প্লেয়ার মেহেদি মিরাজ শিকার করেন ৪ উইকেট। শরিফুল ইসলাম শিকার করেন ১ উইকেট। টাইগাররা বোলারদের সামনে দাড়াতেই পারে নি ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। দলের হয়ে সব্বোচ ২৫ রানের করেন কিমো পল। বাকি ব্যাটাররা আসা যাওয়াতেই ব্যাস্ত থাকেন।