ওয়ানডে অভিষেকে বিশ্বরেকড গড়েছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে অভিষেক মাচে হ্যাট্রিক করেছিলেন তাইজুল ইসলাম। যখনই সুযোগ পেয়েছেন ভালো কিছু করার চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু ওডিআই ত্রিকেটে তাকে খুব একটা বিবেচনায় নেওয়া হয় না। উইন্ডিজের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করলেন তাইজুল ইসলাম। শরিফুল ইসলামের জায়গায় ডাক পেয়েই জ্বলে উঠেন তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিতে কাবু হয়ে একে একে সাজঘরে ফিরেন ব্রেন্ডন কিং, শাই হোপ, রভম্যান পাওয়েল, কিমো পল ও নিকোলাস পুরান। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ১০ ওভার বোলিং করে দুই মেডেনসহ মাত্র ২৮ রান দিয়ে শিকার করেন পাঁচ উইকেট। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা উইন্ডিজ মাত্র ১৬ রান তুলতেই প্রথম তিনটি উইকেট হারায়।
কিন্তু পরবর্তীতে নিকোলাস পুরানের অধিনায়কত্ব ইনিংসের সুবাদে মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সমর্থ হন ক্যারিবীয়রা। অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ৭৩ রান করে আউট হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এমন অল্পতে বেঁধে ফেলতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ২৮ মাস পর ওয়ানডেতে প্রত্যাবর্তন করা তাইজুল। তিনি মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৫টি উইকেট তুলে নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার শাই হোপ এবং ব্র্যান্ডন কিং যথাক্রমে ২ ও ৮ রানে আউট হন। তাদের দুইজনকেই সাজঘরে ফেরান তাইজুল। দুই ওপেনার যখন আউট হন তখন দলীয় রান ছিল ১৫। সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে সব উইকেট উইকেট হারিয়ে ১৭৮ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।