বেহাল অর্থনীতির চাপে শ্রীলংকা!এশিয়া মহাদেশের একটি দেশ শ্রীলংকা। ২০০৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের দেশ থাকা সত্তেও বর্তমানে দারিদ্র সীমার নিম্নে বসবাস করছে সেখানকার জনগন। আর এ অধপতনের অন্যতম কারণ হল অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক কোন্দল ও অতিরিক্ত ঋণের চাপ। বর্তমান সময়ে শ্রীলংকার ঋণের পরিমান ৪৫ বিলিয়ন ইউ.এস ডলার কিন্তু তাদের রিজার্ভে আছে ২.৫ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা। চলতি বছরে ২০২২ সালের মধ্যে ৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে দেশটিকে দেওলিয়া ঘোষনা করা হবে।বর্তমান সময়ে দেশটির মধ্যে এমন অর্থনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে যে, তেল কিনার জন্য লাইন ধরে দাড়িয়ে থেকে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তেল এর সংকটে গাড়ি চলতে পারছে না। সেখানে চাউলের কেজি ৫০০ টাকা। তাছাড়া কাগজ কিনতে না পারায় স্কুলপরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।শ্রীলংকায় ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোতাবায়ে দায়িত্ব গ্রহন করে কিন্তু তিনি উত্তরাধিকার শোত্রে এ বিপর্যস্ত অর্থনীতি পান। তার পর আবার মড়ার উপর খারার ঘা । করোনার আঘাতে আরো বেশি বিপর্যস্ত হয় অর্থনীতি। প্রেসিডেন্ট অথৈনৈতিক অবস্থা ঠিক করার আশ্বাস দিলেও জনগন মানতে তা নারাজ। ইতিমধ্যে শ্রীলংকার জনগন বিক্ষোব শুরো করে দিয়েছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ হাজার হাজার লোকের সমাঘমে এ বিক্ষোভ শুরো হয়। শ্রীলংকার প্রধান আয়ের উৎস ছিল পর্যটন কিন্তু করোনার কারনে এ পর্যটন খাত বন্ধ থাকায় তাদের অর্থনীতি বেশি বিপর্যস্ত হয়বর্তমান সময়ে ১৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে যার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বহু পরিমান। প্যারাসিটামলের দাাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। তেল, গ্যাস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে৪৩ শতাংশ। বিশেজ্ঞরা মনে করেন, ২০২২ সালেই দেওলিয়া হতে যাচ্ছে শ্রীলংকা।

